ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল করিম
ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল করিম

আত্মগোপন থেকে বাড়ি ফিরতেই গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা

ফেনীতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল করিম গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন। গত শুক্রবার শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। খবর পেয়ে গতকাল শনিবার রাতে পুলিশ তাঁর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে নির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আবদুল করিমের নামে কোনো মামলা ছিল না বলে জানান তাঁর স্বজনেরা। তিনি শারীরিকভাবেও অসুস্থ ছিলেন বলে জানান তাঁরা। তবে কেউ নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

আবদুল করিমের পাশাপাশি গতকাল রাতে ফেনী শহর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের আরও ১৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে ফেনী পৌরসভার শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কসংলগ্ন হাজী ইমাম বক্স লেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল করিমকে (৬৫) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার বাকিরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।

গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল করিমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো মামলা নেই বলে জানান ফেনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন। তবে আসামি হিসেবে একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল করিমসহ মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তাঁদের আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৪ আগস্ট ফেনীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহীপাল উড়ালসেতুর নিচে আন্দোলনরত ছাত্র–জনতার সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে হামলা চালান। এতে ওই দিন ঘটনাস্থলে আটজন মারা যান এবং শতাধিক আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিদের একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এসব মৃত্যুর ও আহতের ঘটনায় ফেনী সদর মডেল থানায় আটটি হত্যা মামলা এবং আটটি হামলা ও হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে।