রংপুরের তারাগঞ্জে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এক বৃদ্ধা নিহত হন। আজ সোমবার তারাগঞ্জ চৌপথী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তোলা
রংপুরের তারাগঞ্জে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এক বৃদ্ধা নিহত হন। আজ সোমবার তারাগঞ্জ চৌপথী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তোলা

নাতনিদের নিয়ে যাচ্ছিলেন নতুন জামা কিনতে, মাইক্রোবাসের ধাক্কায় গেল প্রাণ

অনুপম রানী ও অনু রানী যমজ দুই বোন। বয়স তিন বছর। তাদের মা–বাবা একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাদের দেখভাল করতেন বৃদ্ধ দাদি সন্ধ্যা রানী। পাতলা জামা কিনতে নাতনিদের নিয়ে ভ্যানে করে তারাগঞ্জ যাচ্ছিলেন সন্ধ্যা রানী। কিন্তু নতুন জামা আর কেনা হয়নি।

তারাগঞ্জ যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল তাঁর। সন্ধ্যা রানীর বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের হাড়িকাটা গ্রামে।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার সকাল ১০টায় নিজ বাড়ি হাড়িকাটা গ্রাম থেকে ভ্যানে করে দুই নাতনিকে নিয়ে সন্ধ্যা রানী তারাগঞ্জ বাজারের উদ্দেশে বের হন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক দিয়ে ভ্যানটি উপজেলা পরিষদের সামনে পৌঁছালে দিনাজপুরগামী একটি মাইক্রোবাস তাঁদের ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান সন্ধ্যা রানী। আহত হয় শিশু অনুপম রানী, অনু রানী, যাত্রী ময়না রানী (৩৪)। ভ্যানচালক ডালিম রায় গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।

সন্ধ্যা রানীর ছেলে সন্তোষ রায় বলেন, ‘আমরা স্বামী–স্ত্রী দুজনে স্থানীয় ব্লিং লেদার কোম্পানিতে চাকরি করি। মা আমার মেয়ে দুইটাকে দেখভাল করেন। বাচ্চাদের নতুন জামা কেনার জন্য টাকা দিয়ে অফিসে আসি। মাইক্রোবাস আমার মাকে কেড়ে নিল। আমি এর বিচার চাই।’

তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান শরিফূল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। মাইক্রোবাসটি তারাগঞ্জ চৌপথী এলাকায় রেখে চালক পালিয়ে গেছে। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ভ্যান ও মাইক্রোবাসটি পুলিশের হেফাজতে আছে।