আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেছেন, ‘এবার কিন্তু কঠিন নির্বাচন। পরাজিত শক্তি, যারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিল, তারা কিন্তু সবাই বিএনপির সঙ্গে এক হয়ে আঁতাত করে চেষ্টা করছে, কীভাবে শেখ হাসিনাকে সরানো যায়।’
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ভাঙ্গার ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কাজী জাফর উল্যাহ এ কথা বলেন। ঘারুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুমারখালি গ্রামে এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, ‘পদ্মা সেতু দেখলাম, রেললাইন দেখলাম, বঙ্গবন্ধু টানেল দেখলাম, ঢাকায় উড়াল সেতু দেখলাম। উন্নয়ন চাইলে নৌকা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। নৌকার বিরুদ্ধের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র করে চেষ্টা করছে, কীভাবে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করা যায়।’ তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা কি আবার শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান?’ এ সময় উপস্থিত জনতা ‘দেখতে চাই’ বলে জবাব দেন।
জাফর উল্যাহ বিএনপির বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করে বলেন, ‘মাত্র ৫ দিন আগে ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি সহিংসতা করে পুলিশ খুন করেছে। চিকিৎসক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। তারা আপনাদের মঙ্গল চায় না। তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়।’
জাফর উল্যাহ ফরিদপুর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সমালোচনা করে বলেন, নিক্সন বলেন তাঁর রাজনীতি উন্নয়ন ও মূল্যায়নের রাজনীতি। উন্নয়ন কার? তাঁর নিজের উন্নয়ন। এমপি হওয়ার আগে তাঁর (নিক্সন) এক শতাংশ জমিও ভাঙ্গার কোথাও ছিল না। আজ শত শত বিঘা জমির মালিক হয়েছেন। ভাঙ্গার বাড়িতে চিড়িয়াখানা করেছেন। এমপি নিক্সনের বিরুদ্ধে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন কাজী জাফর উল্যাহ।
ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান নয়ন খানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী হেদায়েত উল্লাহ, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাকির হোসেন ও কামাল উদ্দিন, ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ খান, ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন কাজী জাফর উল্লাহ। তাঁকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর নিক্সন চৌধুরী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য হন।