সাজেকের রুইলুই ভ্যালি
সাজেকের রুইলুই ভ্যালি

সাজেকে আটকে পড়া পাঁচ শতাধিক পর্যটক নিরাপদে ফিরেছেন

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে আটকে পড়া সাড়ে পাঁচ শত পর্যটক নিরাপদে ফিরেছেন। আজ বুধবার দুপুরে বাঘাইহাটে পর্যটকদের গাড়িবহর পৌঁছেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি ও সাজেক পর্যটনকেন্দ্রের গেট সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় নিরাপত্তা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পর্যটকদের গাড়িবহর বাঘাইহাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। এতে পুলিশের প্রহরায় প্রায় দেড় শতাধিক ছোট-বড় যানবাহনে আটকে পড়া পর্যটকদের নিয়ে আসা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাজেকের রুইলুই পর্যটকবাহী গাড়ির বহর বাঘাইহাট বাজারে পৌঁছায়। পরে সেখান থেকে পর্যটকেরা খাগড়াছড়ি, ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন।

পাহাড়ি ঢলে ডুবে যাওয়া সাজেকে বাঘাইহাট এলাকার একটি সড়কে নৌকা চলেছে। গতকাল সকালে তোলা

সাজেকের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের গেটে দায়িত্বরত অনিল ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে আটকে পড়া পর্যটকদের বহনকারী যানবাহন সাজেক ছেড়ে যায়। এসব যানবাহনে ৫৫০ পর্যটক ছিলেন। তবে আরও অনেক পর্যটক সাজেকে রয়ে গেছেন বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের কাচালং ও গঙ্গারাম নদের পানি বেড়ে যায়। পাহাড়ি ঢলে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের বাঘাইহাট ও মাচালং বাজারে সড়ক তলিয়ে যায়। এতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে আসা সাড়ে সাত শ পর্যটক আটকে পড়েন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সাজেক ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের।

সাজেকের রুইলুই ব্যালিতে প্রায় সাড়ে সাত শ পর্যটক আটকা পড়েন। এদের অধিকাংশই আজ ফিরে যান। গতকাল রুইলুই ভ্যালিতে

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে কাচালং নদের পানি নেমে যায়। এতে সড়ক থেকে পানি সরে গেছে। সকাল ১০টার দিকে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অধিকাংশ পর্যটক নিরাপদে ফিরে গেছেন বলে তিনি জানান।