‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের আইনের আওতায় আনা, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করার’ দাবিতে মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রাম। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় নগরের প্রেসক্লাব চত্বরে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচির শুরুতে সংগঠনটির কর্মী-সমর্থকেরা স্লোগান দেন। ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সিন্ডিকেটের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’—এমন আরও নানা স্লোগান দেন। তাঁদের হাতে ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা/ সোনার বাংলায় হবে না’, ‘কৃষক-শ্রমিক বাঁচলে বেশ/ বাঁচবে সোনার বাংলাদেশ’—লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড ছিল।
কর্মসূচির এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাজারগুলোতে সিন্ডিকেট রয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আওয়ামী লীগের দালালেরা এখনো তৎপরতা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ এই সরকারের ওপর আস্থা রেখেছে। কীভাবে আস্থা সরিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়েও তৎপরতা চালাচ্ছে।’
মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে বাজারে যে সিন্ডিকেটগুলো কাজ করে, সেগুলো ভেঙে দিতে হবে। যারা চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানকে ধারণ করে, তাদের সিন্ডিকেটগুলোতে সদস্য করতে হবে। তাদের বাজার তদারকির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। বাজার তদারকির জন্য গঠিত টাস্কফোর্সকে সহযোগিতা করতে হবে।’
সাংবাদিকদের প্রসঙ্গে মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যে সাংবাদিকেরা নিউজ করেছেন, তাঁদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাঁরা হামলা করেছেন, গুলি ও কুপিয়ে জখম করেছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষিদ্ধ করতে হবে। মানুষ চায়, এ দেশে যেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ না থাকে।