চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর এলাকায় ভাইয়ের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে উম্মে কুলসুম (৩৫) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জীবননগর পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কোর্টপাড়া থেকে আজ সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
কুলসুম উপজেলার কোর্টপাড়ার মৃত বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, পরিবারের সদস্যদের অযত্ন, অবহেলা ও অবজ্ঞার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল থেকে ১ মে তারিখের মধ্যে যেকোনো সময় এই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে তথ্য পেয়ে আজ সন্ধ্যায় ভাই মজিবর রহমানের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে কুলসুমের পচা দুর্গন্ধযুক্ত অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
কুলসুমের কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুলসুম মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাঁকে তাঁর ভাই মজিবরের বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রাখা হতো। খাওয়ার সময় তাঁকে খাবার দেওয়া হতো। ঈদের পর গত ২৪ এপ্রিল বাড়ির লোকজন তাঁকে আটকে রাখার পর এই কদিন বাড়ির কেউ তাঁর খোঁজ নেননি।
এদিকে আজ ঘরের ভেতর থেকে পচা-দুর্গন্ধ বের হলে তা বাড়ির লোকজনসহ স্থানীয় লোকজন ঘরে ঢুকে কুলসুমের অর্ধগলিত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সরেজমিন বাড়িতে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। উপপরিদর্শক (এসআই) কেরামত আলী লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মৃধা প্রথম আলোকে জানান, কুলসুমের লাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে দুই থেকে তিন দিন আগে তিনি মারা যেতে পারেন। মেয়েটি প্রতিবন্ধী হওয়ায় বাড়ির লোকজন বাইরে থেকে নিয়মিত তাঁকে খাবার দিতেন। তাঁর ভাই মজিবরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। এ ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।