খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার ১৫টি পাড়ার সাড়ে তিন শ বাসিন্দাকে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে একটি পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ শনিবার এই চিকিৎসাসেবা ও খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়।
সেনাবাহিনীর ৯৭ পদাতিক ব্রিগেডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রুমা সেনা জোনের আওতাধীন সুংসুং পাড়া ক্যাম্পের আওতাধীন ১৫টি পাড়ার জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। এসব পাড়ার বাসিন্দারা মারমা, বম, ত্রিপুরা, খুমী এবং ম্রো জনগোষ্ঠীর। তাঁদের চিকিৎসাসেবা দেন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো. রসিন জামান অয়ন এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুদীপ্তা বড়ুয়া।
চিকিৎসাসেবা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১১০ জন পুরুষ, ১৫০ জন নারী এবং ৯০টি শিশু। সম্প্রীতি ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয় বলে জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা। সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ চলে।
চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ১ বীর-এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সাদ। তিনি এ সময় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় বসবাসরত পাহাড়ি জনগণের জন্য এ ধরনের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এদিকে বড়দিনকে সামনে রেখে দুপুরে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাকলাই পাড়া সাব জোনের আওতাধীন প্রাতাপাড়ার বাসিন্দাদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে সেনাবাহিনী। দ্য ম্যাজেস্টিক টাইগার্স–এর অধিনায়কের পক্ষে পাড়াবাসীর জন্য চাল, ডাল, তেল, চিনি, চা–পাতা, লবণ ও বিভিন্ন মসলা বিতরণ করেন সাব জোন কমান্ডার।
প্রাতাপাড়া এলাকার কমিউনিটি ব্যাপ্টিস্ট চার্চের ধর্মগুরু সার ত্লিং বম ও ভারপ্রাপ্ত কারবারি পাকত্লিরং বম বলেন, সেনাবাহিনীর এসব খাদ্য সহযোগিতা বাসিন্দাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে উৎসব উদ্যাপনে ভূমিকা রাখবে।
১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলকারনাইন বলেন, বড়দিন উপলক্ষে চার্চগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর টহল দল নিয়োজিত থাকবে। পাহাড়ে বসবাসরত সব জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি সবার মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর।