ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট প্লাবিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে
ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট প্লাবিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে

পাহাড়ি ঢলে আখাউড়া স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট প্লাবিত

ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ও আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট প্লাবিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার পর ইমিগ্রেশনের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

পানির তোড়ে গাজীর বাজার এলাকায় একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী অবস্থায় আছে ৩০০ পরিবার।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। আজ সকাল থেকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও স্থলবন্দরের পাশ বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে সীমান্তের ওপার থেকে পাহাড়ি ঢল আসতে শুরু করে। একপর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
আখাউড়া স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা উপজেলার গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু ভেঙে যায়। এর আগে মঙ্গলবার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন।

পানির তোড়ে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের গাজীর বাজার এলাকায় অস্থায়ী সেতু ভেঙে গেছে

এ বিষয়ে আজ বিকেল চারটার দিকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ খায়রুল আলম বলেন, সকাল ১০টা পর্যন্ত ২০-৩০ জন যাত্রী আসা-যাওয়া করেছেন। সকাল ১০টার পর থেকে ইমিগ্রেশনের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কার্যালয়ের সব কক্ষে পানি ঢুকে পড়েছে।

উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, আজ সকালে তীব্র বেগে ভারত থেকে পানি আসতে শুরু করে। এতে অনেক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। আখাউড়া-আগরতলা সড়কের অস্থায়ী সেতু ভেঙে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন প্রথম আলোকে বলেন, পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ৫০ গ্রামটি প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে। আখাউড়া স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে হাঁটুপানি জমেছে। এলাকাবাসী মিলে বাঁধের অংশ মেরামত করেছেন। সেতুটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে দ্রুত যান চলাচলের উপযোগী করা যাবে না।