ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছেছেন। বেলা দুইটার দিকে তিনি ভাঙ্গার কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। এ জন্য আজ সকাল থেকেই দলে দলে নেতা-কর্মীরা আসছেন জনসভাস্থলে।
প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে ভাঙ্গা উপজেলায় সাজ সাজ রব। এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন ও জংশনসংলগ্ন এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে সাঁটানো হয়েছে ব্যানার–ফেস্টুন।
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর গ্রাম থেকে ভাঙ্গার জনসভায় যোগ দিতে এসেছেন প্রদীপ দাস নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘অনেক প্রত্যাশা নিয়ে জনসভায় এসেছি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে। আমরা বিভাগ বাস্তবায়ন ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চাই ফরিদপুরে।’
চরভদ্রাসন উপজেলা সদর থেকে এসেছেন আবদুস সবুর। তিনি বলেন, ‘ফরিদপুর একটি প্রাচীন জনপদ। এ জেলাতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ফরিদপুরকে বিভাগ ঘোষণার কথা প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে শুনব, এ প্রত্যাশা নিয়ে জনসভায় এসেছি।’
সফরসূচি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে আজ সকাল ১০টার দিকে সড়কপথে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে পদ্মা সেতু সংযোগ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথের উদ্বোধন করেন। পরে সেখান থেকে ট্রেনে করে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান তিনি। বেলা দুইটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভাঙ্গার কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভা শেষে নিজ জন্মভিটা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন তিনি।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ফরিদপুর সফর উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের সঙ্গে সমন্বয় করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে পুরো ভাঙ্গাকে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।