গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৯ প্রার্থী

দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান। মঙ্গলবার সাঘাটা উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

আগামী ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের মোট ৯ প্রার্থী।

আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসব মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। সন্ধ্যায় ৯ জনের মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল মোতালিব।

প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ, সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, এইচ এম এরশাদ, শাহ আবু বকর সিদ্দিক, শহিদুল ইসলাম ও সৈয়দ বেলাল হোসেন।

গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মৃত্যুর আগে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে অসুস্থ ছিলেন। ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৫ সেপ্টেম্বর, প্রত্যাহার ২২ সেপ্টেম্বর ও পরের দিন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ১২ অক্টোবর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বিগত ১৬ বছর ফজলে রাব্বী বেঁচে থাকতে প্রতিটি নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেয়েও তিনি দলকে চাঙা রেখেছেন। এ সময়ের কাজ ও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন বিবেচনায় উপনির্বাচনে দল তাঁকে মূল্যায়ন করেছে। নির্বাচিত হলে তিনি গাইবান্ধার বালাসি থেকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত টানেল নির্মাণ ও দুই উপজেলার নদীভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেবেন।

জাতীয় পার্টি মনোনীত এ এইচ এম গোলাম শহীদ বলেন, আসনটি একসময় জাতীয় পার্টির দখলে ছিল। উপনির্বাচন সুষ্ঠু হলে তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।