লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে শিক্ষার্থীসহ ১১ জন হত্যার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি ও দুজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বাদী হয়ে অপর দুটি মামলা করেন। ৩টি মামলায় ১ হাজার ৫৬৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দুজন শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন ওরফে টিপুকে প্রধান আসামি করা হয়। সালাহ উদ্দিন আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রয়াত আবু তাহেরের ছেলে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ৪ আগস্ট সংঘর্ষে পুরো লক্ষ্মীপুর শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। টানা ছয় ঘণ্টা ধরে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিনসহ তাঁর বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৪ শিক্ষার্থীসহ ১১ জন ও আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক।
থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের গাড়িচালক মো. রাসেল, যুবলীগের কর্মী মো. শাহজাহানসহ সাতজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) এমদাদুল হক বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ৬০০ জনকে আসামি করা হয়।
দ্বিতীয় মামলাটি করেন সংঘর্ষে নিহত লক্ষ্মীপুর ভিক্টোরিয়া কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাদ আল আফনানের (১৯) মা নাছিমা আক্তার। এ মামলায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন প্রধান করে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয় ও অজ্ঞাত ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. সাব্বিরসহ তিন শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডে সাব্বিরের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে অপর মামলা করেন। এ মামলায়ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন প্রধান করে ৯১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিন ফারুক মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলার বাদী পুলিশ। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।