রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় একসঙ্গে ‘অ্যালকোহল’ পানের পর তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তাঁদের মৃত্যু হয়। এই তিনজনের সঙ্গে ‘অ্যালকোহল’ পান করা আরও চারজন অসুস্থ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে ‘অ্যালকোহল’ পানের পর অসুস্থ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নওগাঁর এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম আতোয়ার হোসেন (৩৫)। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার গণেশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মোহনপুরে মারা যাওয়া তিনজন হলেন উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মো. টোটন (৪০), একই গ্রামের মোন্তাজ আলী (৪০) ও করিশা গ্রামের মো. জুয়েল (৩৫)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজন হলেন উপজেলার দুর্গাপুর কাচারিপাড়া গ্রামের আকবর আলী (৪৩), দুর্গাপুর শাহপাড়া গ্রামের মো. ফিরোজ (২৬), দুর্গাপুর মোন্নাপাড়া গ্রামের মো. পিন্টু (২৫) ও দুর্গাপুর খাঁ পাড়া গ্রামের মো. মোনায়েম (২৫)।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাননান জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সাতজন এলাকায় অ্যালকোহল পান করেন। এরপর বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়। অন্য চারজনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি বলেন, টোটন ও জুয়েল অ্যালকোহল বিক্রি করতেন। অন্যদের সঙ্গে তাঁরাও পান করেছিলেন। এই দুজন বাড়িতেই মারা যান। পুলিশ খবর পাওয়ার আগেই তাঁদের মরদেহ স্বজনেরা দাফন করে দেন। বৃহস্পতিবার মোন্তাজের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওসি জানান, এ ব্যাপারে মোন্তাজ আলীর ছেলে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা মাদক ব্যবসায়ীদের আসামি করা হয়েছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ফারুক হোসেন বলেন, অ্যালকোহল পান করে অসুস্থ হয়ে পড়া নওগাঁর আতোয়ার হোসেনকে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। এর ৮ মিনিট পর তিনি মারা যান। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।