ঢাকার সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি আজ অনেকটাই স্বাভাবিক। সকালে নির্দিষ্ট সময়ে অধিকাংশ কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকেরা। কয়েকটি কারখানার ভেতরে শ্রমিকেরা কাজ না করে তাঁদের হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, টিফিন বিল বৃদ্ধিসহ নানা দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি জানাজানির পর ইতিমধ্যে ১৭টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
কয়েক দিনে যেসব এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে, সেসব এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কারখানাসংলগ্ন কোথায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আশুলিয়ার বিভিন্ন সড়কে ও কারখানার সামনে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকার পার্ল গার্মেন্টস কোম্পানি লিমিটেডের সামনের মোতায়েন রয়েছেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা। এ ছাড়া আশুলিয়ার বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় বিভিন্ন কারখানার সামনে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। সড়কে টহল দিচ্ছেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা।
আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ জানায়, আজ সকালে নির্ধারিত সময়ে কাজে যোগ দেন বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরা। কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রেখে তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করবেন না বলে কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে ওই কারখানাগুলো ছুটি দেয় কর্তৃপক্ষ। ছুটির বিষয়টি জানাজানি হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কায় আশপাশের কয়েকটি কারখানায় ছুটি দেওয়া হয়।
শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১–এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, সকালে কারখানাগুলোয় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল। তবে পরে কিছু কারখানায় মালিকদের সঙ্গে শ্রমিকদের বনিবনা না হওয়া ও দাবি পূরণ না হওয়ায় শ্রমিকেরা কাজ করেননি। পরে সেগুলো ছুটি দেওয়া হয়। কয়েকটি কারখানায় কর্মকর্তারা অনুপস্থিত থাকায় শ্রমিকেরা কাজ না করে বের হয়ে যান। আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানা শ্রমিক ছুটির বিষয়টি জানার পর তাঁরাও কারখানা ছুটি দিয়েছেন।
মোহাম্মদ সারোয়ার আলম আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আজ কারখানার সামনে অবস্থানরত সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।