রংপুর নগরীর হাজীরহাট এলাকায় সাদ্দাম হোসেন নামের এক যুবক খুনের ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ বলছে, পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন তাঁর কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
আবু মারুফ হোসেন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর নগরীর হাজীরহাট থানাধীন রণচণ্ডী ধনীপাড়া এলাকার একটি ধানখেত থেকে সাদ্দাম হোসেন (৩৬) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার উদ্ধার করে পুলিশ। সাদ্দামের গলা, ঘাড় ও মাথায় জখম ছিল। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা হয়। পরে মহানগর পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে একই এলাকার শাহের বানু ওরফে শাহানাজকে (৩০) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর অভিযুক্ত ওই এলাকার মনজুরুল ইসলামকেও (৩৬) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আবু মারুফ হোসেন বলেন, শাহের বানুর সঙ্গে প্রতিবেশী মনজুরুলের পরকীয়া গড়ে ওঠে। অপর প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেনও শাহানাজের পরকীয়া প্রেমিক। মনজুরুল ইসলাম গত বুধবার রাতে শাহের বানুর বাড়িতে যান। ফেরার সময় উঠানে সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে মনজুরুলের দেখা হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ সময় মনজুরুল তাঁর সঙ্গে থাকা দা দিয়ে সাদ্দামের গলা, ঘাড় ও মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ ধানখেতে ফেলে রেখে বাড়িতে চলে যান।
আবু মারুফ হোসেন জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।