পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে তানজিত আহমেদ ওরফে রাতুল (১৮) নামের এক ইপিজেডের কর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় আলিপ হোসেন (১৮) নামের আরেক কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পাকশী এলাকায় রেললাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত আলিপকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত তানজিত রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বনকিশোর গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের ছেলে। আহত আলিপ ঈশ্বরদীর বড়ইচরা এলাকার মাহাবুব হোসেনের ছেলে। তাঁরা দুজনই ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলিপ হোসেন বলেন, প্রতিদিন রাতে তাঁরা দুই বন্ধু দৌড়ান। ইপিজেডে কাজ শেষে গতকাল রাতে তাঁরা দৌড়াতে বের হন। ইপিজেডের প্রধান ফটক থেকে দৌড়ানো শুরু করে এক পর্যায়ে রূপপুর গিয়ে রেললাইনের ওপরে উঠে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার দিকে হার্ডিঞ্জ সেতুর দিকে দৌড়ানো শুরু করেন। কিছুদূর যাওয়ার পরে দেখতে পান সামনে ট্রেন আসছে। কিন্তু বোঝা যাচ্ছিল না দুটি লাইনের কোন দিক থেকে ট্রেন আসছে। কাছাকাছি চলে এলে তিনি ট্রেনের হালকা ধাক্কায় পড়ে যান। একটু পর দেখতে পান তানজিতের খণ্ডবিখণ্ড দেহ পড়ে আছে। পরে স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল রহমান বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের কোনো দাবি না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।