বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ (প্রিন্স) বলেছেন, আওয়ামী লীগ উন্নয়নের মিথ্যা গালগল্প শুনিয়ে লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করেছে। কৃষক-শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে নিজেদের ভাগ্য গড়েছে, আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বিলডোরা ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজারে কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিলডোরা ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে রবিশস্যের বীজ বিতরণ করা হয়।
এমরান সালেহ বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্পের নামে আওয়ামী লীগের নেতারা মেগা দুর্নীতি করেছেন। চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা তাঁর বাবার নামে অপ্রয়োজনীয় টানেল করে নিজের জন্য কোটি কোটি টাকা অপচয় করে সাত তারকা অতিথিশালা নির্মাণ করেছিলেন। অথচ দুর্দশাগ্রস্ত কৃষকের ঋণ মওকুফ করতে পারেননি। বিনা মূল্যে সার দেওয়ার অঙ্গীকার করেও দেননি। কৃষকের পণ্যের ন্যাযমূল্য দেননি। তাঁর মতো মিথ্যাবাদী, প্রতারক, নিষ্ঠুর ফ্যাসিস্ট রাজনীতিবিদ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আল্লাহ বাড়াবাড়ি পছন্দ করেন না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার নেশায় হত্যা, গুম করে নরকের দেশে পরিণত করেছিল।’
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আলাপচারিতার কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ক্ষমতার দম্ভে হাসিনা একসময় ড. ইউনূস ও খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে মারতে চেয়েছিলেন। আল্লাহর বিচার, আজ ড. ইউনূস ও বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে আর হাসিনা গণহত্যা করে নিকৃষ্ট ফ্যাসিস্ট পরিচয় ধারণ করে প্রভুর দেশে পালাতক। আল্লাহ যাকে সম্মান দেন, কেউ তা কেড়ে নিতে পারে না।’
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সম্প্রতি বন্যায় কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সরকারের কাছ থেকে সময়মতো প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। তিনি বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটাতে পুরোনো কৃষিঋণ মওকুফ; সুদমুক্ত নতুন কৃষিঋণ প্রদান; বিনা মূল্যে সার, বীজ, কীটনাশক, তেল প্রদান এবং এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পুনর্নির্মাণসহ কৃষি পুনর্বাসনের দাবি জানান।
হালুয়াঘাট উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবু হাসনাত, আলমগীর আলম, আবদুল হাই, মোনায়েম হোসেন খান, শহীদুল হক খান, জেলা যুবদলের সহসভাপতি আবদুল আজিজ খান, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা নীলু, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গণি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন খান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম আর আল আমিন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদুজ্জামান আউলিয়া, উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান প্রমুখ।