মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম করা হয়। শুক্রবার বেলা ১টার দিকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে
মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম করা হয়। শুক্রবার বেলা ১টার দিকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে

মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মা–ছেলেকে কুপিয়ে জখম

মাদারীপুরের ডাসারে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ব বোতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন পূর্ব বোতলা এলাকার তৈয়ব আলী মাতুব্বরের ছেলে ফেরদাউস মাতুব্বর (১৮) ও তাঁর মা মমতাজ বেগম (৫২)। তাঁদের মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত একই এলাকার আনসার উদ্দিন মাতুব্বারের ছেলে করিম মাতুব্বর (৫০) ঘটনার পর পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব বোতলা এলাকার তৈয়ব আলী মাতুব্বরের সঙ্গে চাচাতো ভাই করিম মাতুব্বরের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। দুপুরে তৈয়ব আলী মাতুব্বরের স্ত্রী মমতাজ বেগম বিরোধপূর্ণ জমিতে কাটা গাছের পাতা রোদে শুকাতে দেন। এতে বাধা দেন করিম ও তাঁর লোকজন। প্রথমে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে করিম লোকজন নিয়ে মমতাজ বেগমের ওপর হামলা করেন। মায়ের চিৎকার শুনে মমতাজের ছেলে ফেরদাউস এগিয়ে আসেন। তখন মা ও ছেলেকে দেশি অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মা ও ছেলে দুজনকেই দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে। ছেলে শঙ্কামুক্ত হলেও মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুজনকেই হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

মমতাজ বেগমের মেয়ে সাগরিকা আক্তার বলেন, ‘আমার মা ও ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে করিম মাতুব্বর ও তাঁর লোকজন। আমাদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় ওরা এই ঘটনা ঘটাইছে। আমরা এর বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে করিম মাতুব্বর মুঠোফোনে বলেন, ‘জমি নিয়ে আমাগো বিরোধ আছে। কিন্তু আমি ও আমার পরিবারের কেউ ফেরদাউস ও তার মাকে কোপায় নাই। এটা ভুল কথা। তাঁরা কীভাবে আহত হইল, তা আমার জানা নাই। তা ছাড়া আমি এলাকায়ও নাই।’

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। মা ও ছেলের ওপর হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। ভুক্তভোগী ওই পরিবারকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।