পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের ৮ থেকে ১০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর থেকে সড়কটিতে ভাঙন দেখা দিতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফের সাবরাং জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়কটি দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের একটি বিশেষ ইউনিট। যেসব স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেখানে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে মেরামত কাজ শুরু করেছেন ওই ইউনিটের সদস্যরা।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেছে। এতে মেরিন ড্রাইভের সাবরাং বাহারছড়া ঘাট মুন্ডার ডেইল, হাদুরছড়া ও পশ্চিম মুন্ডার ডেইল এলাকার বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কাজ করছে।
আজ দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া ঘাট থেকে হাদুরছড়া বিজিবি ক্যাম্পসংলগ্ন শ্মশান পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটারে ৮ থেকে ১০টি স্থানে সড়ক ও পাশের ঝাউবাগানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঢেউয়ের আঘাতে সড়কের কিছু অংশ সাগরে বিলীন হয়ে যাওয়ার দৃশ্যও চোখে পড়ে। এ সময় কয়েকটি উপড়ে পড়া ঝাউগাছও দেখা যায়। ভাঙন দেখতে আশপাশের লোকজন মেরিন ড্রাইভ সড়কে ভিড় করেছেন।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কের পূর্ব পাশে প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তি জমি কিনেছেন। তাঁদের কেনা জমি ভরাট করতে সড়কের পাশের সমুদ্রসৈকত থেকে অবাধে বালু তুলছেন। এতে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ ছাড়া সড়ক রক্ষায় স্থাপন করা জিওব্যাগগুলোও ফেটে যেতে শুরু করায় ঝুঁকি বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতেও সড়কটির একাধিক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছিল।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সেলিম বলেন, ভাঙন দ্রুত ঠেকানো না গেলে টেকনাফের সাবরাং টুরিজম পার্ক অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।