বরিশালে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর গণ-অবস্থান কর্মসূচি চলছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। তার আগেই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে এসে পৌঁছান। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেখানে বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীদের মিছিল নিয়ে আসেন।
নগরের সদর রোডে অশ্বিনী কুমার হল–সংলগ্ন মহানগর ও জেলা বিএনপির কার্যালয় চত্বরে এই গণ-অবস্থান চলছে। নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে দলীয় কার্যালয় চত্বর, অশ্বিনী কুমার হল চত্বর ছাপিয়ে সদর রোড কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান মঞ্চে অবস্থান নেন।
বিএনপির নেতারা জানান, বেলা তিনটা পর্যন্ত এই গণ-অবস্থান কর্মসূচি চলবে। এতে এতে বরিশাল মহানগর, জেলা এবং বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।
গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারাও এতে অংশ নিয়েছেন। জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি এবং রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের এই কর্মসূচিতে তাঁরা যোগদান করবেন।
বিএনপির এই কর্মসূচিকে ঘিরে অশ্বিনী কুমার হল ও সদর রোডের আশপাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নির্দলীয় সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণমিছিলের সময় ১১ জানুয়ারি দেশের সব বিভাগীয় শহরে গণ–অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। বরিশালে এই কর্মসূচি সফল করতে গত কয়েক দিন ধরে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি পালন করব। জনগণের দাবি অনুয়ায়ী দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এই গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ছাড়াও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিচ্ছে।’