নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ঘরে ঢুকে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের চরনগরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম দেলোয়ারা বেগম (৬০)। তিনি পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের চরনগরদী গ্রামের মৃত মালেক দেওয়ানের স্ত্রী। তাঁর তিন ছেলে ও এক মেয়ে। দুই ছেলে প্রবাসী। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছোট ছেলেকে নিয়ে দেলোয়ারা ওই বাড়িতে বসবাস করতেন।
নিহত দেলোয়ারা বেগমের ছেলে নাদিম মিয়া বলেন, ঘটনার সময় তিনি তাঁর বোন নার্গিসের শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। গতকাল ইফতারের সময় থেকেই মায়ের মুঠোফোনে তিনি একের পর এক ফোন করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁর মা ফোন ধরছিলেন না। রাত ৯টার দিকে যখন মা না ধরছিলেন না, তখন প্রতিবেশী একজনকে বাড়িতে গিয়ে মায়ের খোঁজ নিতে বলেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই প্রতিবেশী বাড়িতে গিয়ে শয়নকক্ষের খাটের ওপর মায়ের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে তাঁরা দুই ভাইবোন একসঙ্গে বাড়িতে আসেন।
স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের সময় দেলোয়ারাকে বঁটি নিয়ে তরকারি কাটতে দেখা গিয়েছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে কে বা কারা তাঁর কাছে যায়। এ সময় বাড়িটিতে আর কেউ ছিলেন না। পরে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে গলাকেটে তাঁকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেছে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।