গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির গাড়িবহরে হামলার সময় ওই দলের ক্রীড়া সম্পাদক নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নিহত শওকত আলী দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান (৩২) বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং ১ হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী গোপালগঞ্জ সদরের বেদগ্রামে অনুষ্ঠিত এক পথসভা শেষে নিজ গ্রাম টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় একদল লোক মাইকিং করে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গাড়িবহরে হামলা করেন। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ ছাড়া সাংবাদিকসহ আরও অন্তত ৫০ জন আহত হন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের মেয়ে কানতারা খান, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, সদস্য মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক, গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কবির, সাধারণ সম্পাদক আলিমুজ্জামান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাসার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম সিকদার, সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান, মুকসুদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মোল্লা, কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ মামলায় এজাহারভুক্ত থাকায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত হয়েছে।