অধ্যাপক আলমগীর কবির
অধ্যাপক আলমগীর কবির

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষের পদ ছাড়লেন আলমগীর কবির

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের প্রাধ্যক্ষের পদ ছেড়েছেন অধ্যাপক আলমগীর কবির। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আলমগীর কবির। তিনি বলেন, ‘গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার পর আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। মানুষের কত কারণই তো থাকে; অসুস্থতা থাকে, ব্যক্তিগত কারণ থাকে, ইচ্ছা-অনিচ্ছা থাকে। ঠিক তেমনই আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের দিনগুলোর ঘটনায় দায়িত্বপালনে ব্যর্থ হয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে আলমগীর কবির বলেন, ‘না, আমি দায়িত্ব নিয়েছি মাত্র কয়েক দিন হলো। অনেক কিছুই বুঝে উঠতে সময় লেগেছে। আমরা তো কাউকে বলিনি, এর ওপর হামলা করো, ওর ওপর হামলা করো।’

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৫ জুলাই রাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার সময় প্রক্টর আলমগীর কবিরের সাহায্য চেয়েও পাননি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

প্রক্টরের সরাসরি ইন্ধনে ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা করেছিল। পুলিশ যখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান নেয়, তখন প্রক্টর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। আমরা পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, তিনি (প্রক্টর) বলেছিলেন, “আমরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নয়, পুলিশ চাই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আহসান লাবিব

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আহসান লাবিব বলেন, ‘প্রক্টরের সরাসরি ইন্ধনে ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা করেছিল। পুলিশ যখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান নেয়, তখন প্রক্টর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। আমরা পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, তিনি (প্রক্টর) বলেছিলেন, “আমরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নয়, পুলিশ চাই।”’

আন্দোলনকারী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল সরকারপ্রধানের পদত্যাগের পর প্রক্টর বুঝে গেছেন, তাঁর আর এই পদে থাকা সম্ভব হবে না। তাই তিনি তড়িঘড়ি করে পদত্যাগ করে বাঁচতে চেয়েছেন। প্রক্টর যে অন্যায় করেছেন, তাতে শুধু পদত্যাগ করলে হবে না, তাঁকে চাকরিচ্যুত করতে হবে।