লালমনিরহাট সদরে শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সপ্তম দিনের খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ শনিবার তােলা
লালমনিরহাট সদরে শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সপ্তম দিনের খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ শনিবার তােলা

ওবায়দুল কাদের হয়তো আগামী দিনের কোনো খেলায় যোগ দিতে পারবেন না: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘খেলা হবে খেলোয়াড়দের কৌশলে, স্পিরিটে। আজকে একটা ব্যতিক্রমের কথা মনে পড়ছে। ওবায়দুল কাদের বলতেন, “খেলা হবে, খেলা হবে।” রাজনীতির মাঠের সেই খেলা এবং খেলার কৌশল সবাই দেখতে চান। কিন্তু উনি (ওবায়দুল কাদের) হয়তো আগামী দিনের কোনো খেলায় যোগ দিতে পারবেন না, এটাও আমাদের দুর্ভাগ্য। খেলাটা কেমন হবে, সেটা উনি দেখতেও পারবেন না।’

আজ শনিবার লালমনিরহাট জেলা বিএনপি আয়োজিত লালমনিরহাট সদরে শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সপ্তম দিনের খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন–সংগ্রাম করার জন্য আমার অনেক ভাই রক্ত দিল, জীবন দিল। আমি বলব ওরা ভাগ্যবান, ওরা দেশটা দিয়ে গেছে। দেশের এই দুরবস্থা দেখে যায় নাই। আমরা বেঁচে থেকে এই দুরবস্থা দেখছি, ধুঁকে ধুঁকে মরছি, প্রতিবাদ করছি।’

লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিবের (দুলু) সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন। অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগের আট জেলার বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন–সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি, আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছি, গণতন্ত্র কিন্তু এখনো আমাদের হাতের নাগালে নেই। সম্ভাবনা কতটুকু বলতে চাই না। আমি প্রধান উপদেষ্টাকে বলব, এই পথচলা যদি শেষ না হয়, কেমন হবে, আপনিই ভাবুন, আপনিই বলুন, আপনিই উত্তর দিন। ভোটের অধিকার কেমন হবে, সারা বাংলাদেশের মানুষ শেষ খেলাটা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে আছে, আজকের খেলার মতো। আপনাদের আজকে কথা শোনার জন্য মানুষ নাই, মানুষ তাদের ভোটটা দিয়ে প্রমাণ করতে চায় গণতন্ত্র আছে।’

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, মানুষ সংস্কার কম বোঝে, তারা বোঝে জিনিসপত্রের দাম বেশি। মানুষ চিৎকার দেয় কবে মাদকমুক্ত দেশ হবে, কবে সন্ত্রাসমুক্ত দেশ হবে। তারা সংস্কারের মধ্যে বারবার ঢুকতে চায় না। সংস্কার প্রয়োজন তাদের, যারা দেশ চালায়।