রাজশাহী নগরের গৌরহাঙ্গা এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে ককটেল হামলায় ইজিবাইকের চালকসহ দুজন আহত হয়েছেন। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় এলাকাবাসী ধাওয়া দিয়ে তিন হামলাকারীকে ধরে ফেলেন। পরে তাঁদের আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ বলছে, অবরোধের সমর্থনে বের করা বিএনপির মিছিলের পরে এই ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।
ককটেল হামলায় আহত দুই ব্যক্তি হচ্ছেন ইজিবাইকের চালক মো. জলিল (৪৫)। তাঁর বাড়ি রাজশাহী নগরের হেতেম খাঁ এলাকায়। অপরজন ইজিবাইকের যাত্রী। তাঁর নাম আবুল বাসার (৩০)। তাঁর বাড়ি মেহেরপুর জেলার গাংনীতে।
থানা-পুলিশ জানায়, আবুল বাসার তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে আসছিলেন। তাঁর স্ত্রীও ওই ইজিবাইকে ছিলেন। তবে তিনি আহত হননি। বাসারের বাঁ চোখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্প্লিন্টার লেগেছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর জলিলের পেটে ও গলার নিচে গুরুতর জখম হয়েছে। তা ছাড়া তিনি সারা শরীরেই স্প্লিন্টারের আঘাত পেয়েছেন। তাঁকেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে আটক তিনজন হচ্ছেন নগরের লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার টিটো (২৭), বিনোদপুর এলাকার মনিরুল ইসলাম (২৭) ও গোদাগাড়ী উপজেলার শাহাদত হোসেন (২৭)।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, অবরোধের সমর্থনে বিএনপি ওই এলাকায় মিছিল বের করেছিল। মিছিলের পরে তাঁরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছিলেন। তখন লোকজন ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে আটক করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
থানা-পুলিশ আরও জানায়, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সামনে অবস্থানরত পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। বিস্ফোরিত ককটেলের স্প্লিন্টারে আদালতের জেনারেটর কক্ষের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। তবে গাড়িতে থাকা কোনো পুলিশ সদস্য আহত হননি।