পঞ্চগড়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৪) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে বিজিবির সহায়তায় তেঁতুলিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তেঁতুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ওই কিশোরীর এক চাচা আজ শনিবার চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করে মামলাটি করেন। আজ বিকেলে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।

ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার চারজন হলেন তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া এলাকার মো. আবদুল্লাহ (২০), সাব্বির হোসেন (১৯) এবং একই এলাকার ১৭ বছর বয়সী দুই কিশোর। ওই কিশোরী নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার বাসিন্দা। সে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বাসে তেঁতুলিয়া উপজেলা শহরে চলে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তেঁতুলিয়া উপজেলা শহরের মাগুরা মোড় এলাকায় বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন।

পরে ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলা শহরের চৌরাস্তা বাজার থেকে মো. আবদুল্লাহ নামের এক তরুণ ওই কিশোরীকে ফুসলে দর্জিপাড়া এলাকার একটি ঘরে নিয়ে যায়। পরে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বেলা দুইটা পর্যন্ত আবদুল্লাহ, সাব্বির হোসেন ও দুই কিশোর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় আরও দুই তরুণ জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। ধর্ষণের পর অভিযুক্তরা ওই কিশোরীকে উপজেলা শহরের মাগুরা মোড়ে রেখে চলে যায়।  

পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া চারজন ওই কিশোরীকে ধর্ষণের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। এ ছাড়া ওই কিশোরীকে গ্রেপ্তারকৃতদের সামনে আনার পর সে তাঁদের শনাক্ত করেছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।