নাসিরনগরে নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে ৩ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

সেপটিক ট্যাংক ভেঙে ভেতরে থেকে তিন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের গুতমা গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নির্মাণাধীন একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে তিন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুতমা গ্রামের আহাদ আলীর বাড়ি থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করা হয়। মারা যাওয়া শ্রমিকদের সবাই হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাসিন্দা।

মারা যাওয়া শ্রমিকেরা হলেন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আলম মিয়া (২২), একই উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের সম্পদপুর গ্রামের নজর আলীর ছেলে মো. চুন্নু মিয়া (২৫) ও একই ইউনিয়নের মইজপুর গ্রামের আতিক মিয়ার ছেলে সম্রাট মিয়া (২০)।

সেপটিক ট্যাংকে তিন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের গুতমা গ্রামে

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, গুতমা গ্রামের আহাদ আলীর বাড়িতে কয়েকজন শ্রমিক কয়েক মাস ধরে ভবন নির্মাণের কাজ করে আসছিলেন। আজ সকাল নয়টার দিকে একেক করে দুজন নির্মাণশ্রমিক ওই বাড়ির একটি সেপটিক ট্যাংকে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর তাঁদের সাড়াশব্দ না পেয়ে আরও একজন প্রবেশ করেন। তাঁরও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে অপর একজন নির্মাণশ্রমিক দ্রুত বাড়ির মালিককে জানান। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ গ্রামবাসীর সহায়তায় ওই সেপটিক ট্যাংক ভেঙে একেক করে তিনজন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে। আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের গুতমা গ্রামে

খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নাসিরনগর থানার পুলিশ। ঘটনা জানাজানি হলে ওই বাড়ির আশপাশে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন। নির্মাণাধীন ওই বাড়ির সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। পরে পুলিশ গ্রামবাসীর সহায়তায় ওই সেপটিক ট্যাংক ভেঙে একেক করে তিনজন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) রকিবুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, লাশ তিনটি উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তাঁদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।