কক্সবাজারের উখিয়ার দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি ২২টি আগ্নেয়াস্ত্র, মাইন তৈরির সরঞ্জাম, ১০০ রাউন্ড গুলি, চারটি হাতবোমাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ।আজ বৃহস্পতিবার উখিয়ায় কুতুপালংয়ের ২০ নম্বর (এক্সটেনশন) রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরসংলগ্ন লাল পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয়। র্যাবের দাবি, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্য।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মো. ওসমান, মো. নেছার ও ইমাম হোসেন। তাঁরা উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা। র্যাব জানিয়েছে, মো. ওসমান আরসার একটি গ্রুপের কমান্ডার, বাকিরাও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।
র্যাব-১৫–এর কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, লাল পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের একটি দল অবস্থান করছে খবর পেয়ে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত র্যাবের অভিযান চলে। অভিযানের একপর্যায়ে পাহাড়ে থাকা আরসার একটি আস্তানা ঘিরে ফেলেন র্যাবের সদস্যরা। পরে ওই আস্তানা থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। তবে অভিযানের সময় কয়েকজন পালিয়ে গেছেন।
সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, দলপ্রধান আতাউল্লাহর নির্দেশে আশ্রয়শিবিরে বিভিন্ন ধরনের অপরাধসহ নাশকতা চালিয়ে আসছে ১২টি ‘গান গ্রুপ’। এর একটির প্রধান (কমান্ডার) ওসমান। বাকি দুজনের মধ্যে নেছার মাইন তৈরিতে এবং ইমাম গুলি চালাতে পারদর্শী। গ্রেপ্তার তিনজনকে মামলার পর উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গত এক বছরে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবির থেকে আরসার ৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।