লোকালয়ে একটি মায়া হরিণকে দেখে এলাকার কিছু শিশু-কিশোর তাকে ধাওয়া করে। প্রাণভয়ে সে পালানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে লাঠির আঘাতে বন্য প্রাণীটি প্রাণ হারায়। গতকাল শনিবার সকালে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের যোগীমোড়া এলাকায় জুড়ী নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন ও বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে যোগীমোড়া এলাকায় একটি মায়া হরিণ দেখতে পায় স্থানীয় শিশু-কিশোরেরা। এরপর তারা এটিকে ধাওয়া দেয়। পাশেই জুড়ী নদীর পাড়ে হরিণটি আশ্রয় নেয়। সেখানে তাকে ঘিরে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই হরিণটি মারা যায়। খবর পেয়ে বন বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত হরিণটিকে উদ্ধার করে উপজেলা সদরে অবস্থিত প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় এটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা বন্য প্রাণীটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর বন বিভাগের লোকজন স্থানীয় পুঁটিছড়া বিটে নিয়ে হরিণটিকে মাটিচাপা দেন।
এ ঘটনার একটি ভিডিও গতকাল রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, নদীর পাড়ে মৃত অবস্থায় মায়া হরিণটি পড়ে আছে। সেখানে শিশু-কিশোরদের জটলা। স্থানীয় এক ব্যক্তি শিশু-কিশোরদের বলছিলেন, ‘হরিণরে মারল কিতার লাগি? এইটারে কে মারছে?’ জবাবে কয়েক শিশু বলছিল, ‘আলতার ছেলে দেলোয়ারে (দেলোয়ার) মারছে।’
বন বিভাগের জুড়ী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন আজ রোববার সকালে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, শিশু-কিশোরদের ধাওয়ায় মায়া হরিণটি পাথরে আঘাত পেয়ে মারা যায় বলে তাঁরা প্রথমে খবর পান। পরে জানতে পারেন, এটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, খাবারের সন্ধানে মায়া হরিণটি পুঁটিছড়া বন থেকে লোকালয়ে চলে এসেছিল বলে তাঁদের ধারণা।