নেত্রকোনায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জেলা বিএনপির ১৭ জন নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিরা জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নেওয়ার জন্য হাজির হয়েছিলেন। আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিকেলে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি মো. আবুল কালাম আজাদ ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত ১ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের ছোট বাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশ চলছিল। সমাবেশে বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। এতে শহরের প্রধান সড়কটি অচল হয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ তাঁদের সরে যেতে বললে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়, একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েলসহ পুলিশ ও বিএনপির প্রায় ৩০ জন আহত হন।
উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১৭ জন আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। পরে বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নেত্রকোনা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার আল মামুন বাদী হয়ে জেলা যুবদলের সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন খান, ছাত্রদলের সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন পাঠানসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন।
উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ইমরান খান চৌধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য সেলিম আহমেদ খান, জেলা যুবদলের সহসভাপতি ওয়ারেছ উদ্দিন, মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন পাঠান, ছাত্রদল নেতা মো. রানা মিয়াসহ ১৭ জন আজ দুপুরে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। পরে বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।