ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের মৃত্যুবার্ষিকীতে সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তারেক মাসুদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ভাঙ্গা নাগরিক সমাজের উদ্যোগে ভাঙ্গা পৌরসভার নুরপুর মহল্লায় অবস্থিত তারেক মাসুদের বাড়ির আঙিনায় তারেক মাসুদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক ও ভাঙ্গা কাজী মাহবুব উল্লাহ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসায়েদ হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুধিন কুমার সরকার, ভাঙ্গা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের আইনজীবী একরাম আলী সিকদার, কে এম কলেজের শিক্ষক সরোয়ার হোসেন, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের ভাঙ্গা শাখার সভানেত্রী মাহমুদা হোসেন, ভাঙ্গা মহিলা কলেজের প্রভাষক অজয় দাস, ভাঙ্গা উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য সুভাষ মন্ডল ও আবু বকর সিদ্দিকী প্রমুখ।
মোসায়েদ হোসেন বলেন, রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি ও নিজেদের দুর্বলতার কারণে আমরা এ বছর শুধুমাত্র পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যে আমাদের কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রেখেছি। এর বাইরে বিগত বছরগুলোর মতো অন্য কর্মসূচি নেইনি। তারেক মাসুদ এ জাতির একজন সেরা সন্তান। তাঁর নামে তাঁর জন্মস্থান ভাঙ্গায় চলচ্চিত্রবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা জরুরি। প্রয়োজন তাঁর সমাধি রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণ করা। আমাদের প্রত্যাশা আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি ও কৃষ্টি সংরক্ষণে নবগঠিত সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গত ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ‘কাগজের ফুল’ এর শুটিং লোকেশন দেখে ঢাকায় ফেরার পথে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক স্থানে বিপরীতমুখী চুয়াডাঙ্গা এক্সপ্রেসের একটি বাসের সঙ্গে তারেক মাসুদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরকে বহনকারী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন।
মুক্তির গান, মাটির ময়না, আদম সুরত, রানওয়েসহ বিভিন্ন সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র নির্মাণ করে গেছেন তারেক মাসুদ।