জামালপুর পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৬২ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে সুরাইয়া আক্তার নামের এক নারী মামলাটি করেন।
সুরাইয়া আক্তার জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আবদুল করিমের স্ত্রী। এই দম্পতির বাড়ি জামালপুর শহরের শাহাপুর এলাকায়। গত ১৯ জুলাই আসামিরা আবদুল করিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যাপক মারধর করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন জামালপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ওরফে ছানু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. সুরুজ্জামান, জামালপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ফজলুল হক আকন্দ, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মাসুম রেজা ওরফে রহিম, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন শাহ ওরফে রাজু ও সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান ওরফে বাবু ও সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম ওরফে রাব্বী।
মামলার এজাহারে বাদী সুরাইয়া আক্তার উল্লেখ করেন, ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আসামিরা তাঁর স্বামী আব্দুল করিমকে হত্যা উদ্দেশ্যে ব্যাপক মারধর করেন। তাঁর স্বামীর বাঁ হাত ভেঙে দেওয়া হয়। তাঁর পিঠেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে শটগানের গোড়ালি দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে যেতে চাইলে আসামিরা ফাঁকা গুলিও ছোড়েন। আসামিরা তাঁর স্বামীকে রাস্তায় ফেলে কিলঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে মৃত ভেবে আসামিরা তাঁকে রাস্তায় ফেলে চলে যান। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে ওই নারী থানায় মামলা করেছেন। মামলায় বাদী তাঁর স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করার অভিযোগ করেছেন। মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।