কক্সবাজার সৈকত
কক্সবাজার সৈকত

কক্সবাজার সৈকতে গোসলে নেমে পর্যটক দম্পতির মৃত্যু

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সিগাল পয়েন্টে গোসলে নেমে এক পর্যটক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় দুজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন নাটোর পৌরসভার বনপাড়ার বাসিন্দা বোরহান উদ্দিন আহমদের ছেলে আবুল কাশেম (৩৫) এবং তাঁর স্ত্রী ও একই এলাকার সুলতান আলীর মেয়ে সাবিকুন্নাহার (২৮)।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই পর্যটক দম্পতি সৈকতের সিগাল পয়েন্টে গোসলে নামেন। এ সময় সমুদ্রে ভাটার টান ছিল। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টির প্রভাবে সাগরও উত্তাল ছিল। গোসলের একপর্যায়ে ঢেউয়ের তোড়ে পর্যটক দম্পতি সাগরে নিখোঁজ হন। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দুজনকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। দ্রুত দুজনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই পর্যটক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। দুজনের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছে পর্যটক দম্পতি ওঠেন সৈকতের পাশের সিগাল হোটেলে। তাঁদের বরাদ্দ দেওয়া হয় ৩২৭ নম্বর কক্ষটি। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুজন হোটেল কক্ষ থেকে বের হয়ে সৈকতে যান। সৈকতের চেয়ার ছাতায় (কিটকটে) বসে কিছুক্ষণ সময় কাটান। তারপর দুজন গোসল করতে সমুদ্রে নামেন।

সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ পর্যটকদের উদ্ধার কাজে নিয়োজিত বেসরকারি লাইফগার্ড প্রতিষ্ঠান সি সেফের সুপারভাইজার ওসমান গণি বলেন, বিরোধী দলের কয়েক দফার অবরোধ-হরতাল কর্মসূচির কারণে সৈকতের পর্যটকের উপস্থিতি একেবারেই কমে গেছে। গত শনিবার প্রথম দফার ট্রেনে চড়ে এক হাজার এবং বিভিন্ন যানবাহনে আরও চার হাজার পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। আজ সকালে সুগন্ধা পয়েন্টে দেড় হাজার পর্যটক গোসলে নামলেও উত্তর পাশের সিগাল পয়েন্টে লোকজনের তেমন ভিড় ছিল না। ফাঁকা সৈকতে গোসলে নেমে পর্যটক দম্পতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।