চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে
চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে

মেঘনায় কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন যাত্রীরা

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় মেঘনা নদীতে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তবে লঞ্চের লোকজন পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রক্ষা পেয়েছেন ওই লঞ্চের ৪৫০ যাত্রী।

আজ শনিবার উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের মাঝের চরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।  

নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চালক লঞ্চটি তাৎক্ষণিক নদীর পাড়ে একটি চরে ভিড়িয়ে দেন। এ সময় ওই লঞ্চে থাকা যাত্রীরা দ্রুত চরে নেমে যান। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ দ্রুত পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে চাঁদপুর থেকে নৌ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনস্থলে পৌঁছে।

ফায়ার সার্ভিস চাঁদপুরের উপসহকারী পরিচালক মোরশেদ হোসেন বলেন, ‘লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষে একটি চার্জার থেকে আগুন লাগলেও আমরা যাওয়ার আগেই লঞ্চের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’  

চাঁদপুর নৌবন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আগুন লাগার বিষয়ে লঞ্চের মাস্টার মোবারক হোসেন আমাকে জানান। আমরা কর্ণফুলী-৩–এর যাত্রীদের উদ্ধার করে কর্ণফুলী-৪ লঞ্চের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।’

চাঁদপুরের নৌ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চটি এখনো ঘটনাস্থলে আছে।