প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে খুলনা নগরের সড়কে সড়কে মানুষের ঢল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশে যোগ দিতে মিছিল করতে করতে যাচ্ছেন নেতা–কর্মীরা। নগরের শিববাড়ি মোড়ে সোমবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

খুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা। নগরের সড়কে সড়কে নেমেছে মানুষের ঢল। ঢোল, তবলা আর বাঁশি বাজাতে বাজাতে তাঁরা মিছিল নিয়ে সার্কিট হাউস মাঠের দিকে যাচ্ছেন।

আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে জনসভার প্রথম পর্ব শুরু হয়। তখন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বক্তব্য দেন। জনসভার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে বেলা ২টা থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন বিকেল চারটার দিকে। এ জনসভাকে সফল করতে ১০ লাখ লোক সমাগমের পরিকল্পনা নেয় আওয়ামী লীগ। খুলনা বিভাগের ১০ জেলার নেতা-কর্মীরা আসবেন সভায়। খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ওই জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে বেলা একটার দিকে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করেছেন। এরপর সার্কিট হাউসে বেলা দুইটা পর্যন্ত বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন। বেলা পৌনে তিনটায় সার্কিট হাউস মাঠে উপস্থিত হয়ে ২ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ২২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায়।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন জানান, খুলনায় এবারের জনসভা হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা। সার্কিট হাউস মাঠে শুধু নারী নেতা-কর্মীরা থাকবেন, আর পুরুষেরা অবস্থান করবেন বিভিন্ন সড়কে। সড়কের ওপরে অসংখ্য এলইডি মনিটর লাগানো হয়েছে, সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা দেখা যাবে।

মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, জনসভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নগরের রাজপথে আজ নেতা-কর্মীদের ঢল নামছে। এর আগে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আজ আবার খুলনার জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।

মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে আসছেন নেতা–কর্মীরা। শিববাড়ি মোড়ে

পদ্মা সেতু আর নৌকার আদলে মঞ্চ

নিচে নৌকা আর ওপরে পদ্মা সেতু—এমন আদলেই তৈরি করা হয়েছে সমাবেশস্থলের মঞ্চ। ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থের মঞ্চটি তৈরি করা হচ্ছে সার্কিট হাউসের পশ্চিম পাশে আবাহনী ক্রীড়া চক্র ক্লাবের সামনে। তাতে অন্তত ৪০০ জন অতিথি বসতে পারবেন। মঞ্চের উচ্চতা সাড়ে ১৩ ফুট।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, ‘নৌকা আমাদের দলীয় প্রতীক। এ কারণে মঞ্চের নিচের অংশ তৈরি করা হচ্ছে নৌকার আদলে। আর নিজস্ব খরচে পদ্মা সেতু তৈরি করে দেশে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সেতুর কারণে সবচেয়ে বেশি উপকার হয়েছে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের মানুষের। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই মঞ্চে পদ্মা সেতুর রেপ্লিকাও রাখা হয়েছে।’