নীলফামারীর সৈয়দপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় শহরের পাঁচমাথা মোড়ে অবস্থিত পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া চারটি মোটরসাইকেল পোড়ানো হয়েছে। সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্যসহ ৫৩ জন আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্র জানায়, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সৈয়দপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করেন। বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তাঁরা মিছিল করেন। শিক্ষার্থীরা দুপুরে রাজশাহী-চিলাহাটিগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে আধা ঘণ্টা পর ছেড়ে দেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালের যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে।
এ সময় শহরের পাঁচমাথায় অবস্থিত পুলিশ বক্সে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক দফা কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। ছাত্র-জনতা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। টায়ার ও কাঠ জ্বালিয়ে বিভিন্ন স্থানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় পুলিশের এক নারী সদস্যসহ তিন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে কনস্টেবল শফিকুল ইসলামের মাথা পাথরের আঘাতে ফেটে যায়। তাঁদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে আহত ৫০ শিক্ষার্থীকে বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্লোল কুমার দত্ত জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সৈয়দপুরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তিন পুলিশ সদস্য আহতের কথা স্বীকার করলেও কত রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া করা হয়েছে, তা তিনি জানাননি।