ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের (দোয়াত-কলম) বিরুদ্ধে মাথায় ব্যান্ডেজ পরা ছবি দিয়ে পোস্টার ছাপানোর অভিযোগ উঠেছে। এসব ছবি দিয়ে প্রচারপত্র তৈরি করে তিনি তা বিলিও করছেন।
আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী খান আরিফুর রহমান এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শহরের কীর্তিপাশা মোড় এলাকায় উঠান বৈঠক চলাকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আহত সুলতান হোসেন খানকে প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সুলতান হোসেন খান মাথায় ব্যান্ডেজ ও গলায় গজ ফিতা দিয়ে হাত ঝুলিয়ে গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের পোষন্ডা গ্রামে প্রচারণা চালান।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী খান আরিফুর রহমান অভিযোগে উল্লেখ করেন, তাঁর মানসম্মান ক্ষুণ্ন এবং ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে নাটক সাজিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সুলতান হোসেন খান। গত মঙ্গলবারের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। এ সময় তাঁর শরীরে কোনো আঘাত বা ব্যান্ডেজ ছিল না। কিন্তু ১৬ মে রাত থেকে বিভিন্ন এলাকায় সুলতান হোসেনের হাতে ও মাথায় ব্যান্ডেজ লাগানো ছবি দেওয়া পোস্টার দেখা যায়। অনেক জায়গায় এ ছবি–সংবলিত প্রচারপত্রও বিলি করা হয়। এসব ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। এসব কর্মকাণ্ড নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। এ বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানান।
আরিফুর রহমান বলেন, সুলতান হোসেন খান আহত না হয়েও মাথায় ব্যান্ডেজ পেঁচিয়ে ভোটারদের করুণা আদায়ের চেষ্টা করছেন। তিনি ভুয়া পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন।
এ বিষয়ে সুলতান হোসেন খানের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে তাঁর নির্বাচনী সমন্বয়কারী এস এম রুহুল আমিন রিজভী বলেন, সুলতান হোসেন খানকে প্রতিপক্ষরা পিটিয়ে জখম করে। বরিশালের চিকিৎসকদের পরামর্শে সিটিস্ক্যান করে তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ করা হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ছালেক বলেন, একটি সহিংসতার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটি আদালতে বিচারাধীন। নির্বাচনের সময়ে এ ধরনের পোস্টার দেয়ালে লাগানো ও প্রচারপত্র বিতরণ করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তিনি আনারস প্রতীকের প্রার্থীর একটি অভিযোগ পেয়েছেন। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।