বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে শেখ অহিদুজ্জামান নামের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে খুলনা নগরের এক আবাসিক হোটেল থেকে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সরদার মোস্তাজাবুর রহমান ওরফে জাবের, তাহমিদ রহমান, নাহিদ হাসান, এস এম শরিফ হোসেন ও ইমন হাওলাদার। এর মধ্যে তাহমিদ মোস্তাজাবুরের ছেলে ও অন্যরা তাহমিদের বন্ধু। গতকাল রাতে ব্যবসায়ী অহিদুজ্জামান বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মামলা করেছেন।
অহিদুজ্জামান বলেন, মোস্তাজাবুর রহমান ও তাঁর বাড়ি বাগেরহাট সদরের দশানী গ্রামে। তাঁরা একে অপরের পরিচিত। গতকাল মোস্তাজাবুরের পরামর্শে খুলনায় চোখের চিকিৎসার জন্য আসেন তাঁরা। চিকিৎসক দেখানোর পর মোস্তাজাবুর চা খাওয়ার কথা বলে তাঁকে নগরের শিববাড়ী মোড়ে নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর অন্য চার তরুণ তাঁকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে তেঁতুলতলা মোড়ের এক আবাসিক হোটেলে নিয়ে আটকে রেখে চাঁদা দাবি করেন এবং মারধর করেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে হোটেলের কেউ একজন ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনা জানান। পরে সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন ও জড়িত ব্যক্তিদের আটক করেন। ওই ঘটনায় রাতেই তিনি সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাওলাদার সানোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তাঁরা ওই হোটেল থেকে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন। এ সময় সেখান থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আটক তরুণেরা নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়েছিলেন। পরে ওই ব্যবসায়ী মামলা করলে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত সেখান থেকে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।