পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত প্রার্থী সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার হুমকি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। আজ সোমবার সকালে ডলি সায়ন্তনী জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। লিখিত আবেদনে তিনি সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা চেয়েছেন।
ডলি সায়ন্তনী নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন হুমকি পাচ্ছি। মুঠোফোনে কল দিয়ে ও খুদে বার্তা দিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। (আজ সোমবার) প্রতীক বরাদ্দের পর গাড়িতে উঠতে না উঠতেই হুমকি পেয়েছি। আমাকে নির্বাচনের মাঠে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। তাই নিরাপত্তা চেয়েছি। আশা করছি, নিরাপত্তা পাবো।’
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া পত্রে ডলি সায়ন্তনী উল্লেখ করেছেন, তিনি একজন পেশাদার কণ্ঠশিল্পী। দেশ তথা সারা বিশ্বে তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। অনেক সময় ভক্তরা আবেগতারিত হয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি নির্বাচন বন্ধ করা নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে। বিএনপি-জামায়াতসহ নানা গোষ্ঠী নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য অপচেষ্টা করছে। তিনি প্রার্থী হওয়ায় ইতিমধ্যে বিভিন্নভাবে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই তিনি নিজের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের মহান উদ্যোগকে ফলপ্রসূ করতে সহযোগিতা কামনা করছেন। সার্বক্ষণিক অস্ত্রধারী নিরাপত্তা রক্ষীর আবেদন করছেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা প্রার্থীর আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২০ নভেম্বর বিএনএমে যোগ দিয়ে দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ডলি সায়ন্তনী। গত ২৯ নভেম্বর তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাবনা-২ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে ক্রেডিট কার্ড-সংক্রান্ত খেলাপি ঋণের কারণে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আহম্মেদ ফিরোজ কবির।