মামলা
মামলা

সাবেক ডিআইজি নুরুল, তাঁর ভাইসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম এবং তাঁর ভাই শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার শিবগঞ্জ উপজেলার আমলি আদালতে মামলার আবেদন করেন হীরা বেগম নামের এক নারী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী হীরা বেগম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার নামোসুন্দরপুর-ঝাপড়াপাড়ার বাবুল আলীর স্ত্রী। মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) আসগর আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম খান। অভিযুক্ত আসামি সৈয়দ নুরুল ইসলামকে সম্প্রতি রাজশাহী পুলিশ একাডেমিতে ডিআইজি পদে সংযুক্ত করা হয়েছে।

হীরা বেগমের আইনজীবী রবিউল হক বলেন, আমলি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুজ্জামান মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাবুল আলীর বড় ভাই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও বিএনপি নেতা মো. আলমকে ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাবুল আলী বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। সেই মামলা প্রত্যাহারে প্রতিপক্ষ চাপ দিয়ে আসছিল। এর জেরে একই বছরের ১৭ এপ্রিল বাবুল আলীর বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, গরু-বাছুর লুটের ঘটনা ঘটে। পাশের আরও দুজনের বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে সব মিলিয়ে ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় পুলিশের বড় কর্মকর্তা জড়িত থাকায় এত দিন মামলা করতে পারেননি।

অভিযোগ আছে, ২০১৪ সালে পুলিশ সুপার (এসপি) পদে চাকরি করার সময় থেকে সৈয়দ নুরুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনে তাঁর সমর্থিত একটি পক্ষ তৈরি করে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেন। এক ভাইকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং অপর ভাইকে পৌর মেয়র বানান তিনি। এ নিয়ে ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল প্রথম আলোয় ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এসপি লীগের দাপট’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সময় সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমি দলপাগল টাইপের মানুষ। দলকে ভালোবাসি বিধায় দলীয় লোকজনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে।’

সৈয়দ নুরুল ইসলাম ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি থাকাকালে পোশাক পরে বড় ভাই সৈয়দ নজরুল ইসলামের জন্য সংসদ সদস্যের মনোনয়ন চাইতে গিয়েছিলেন। এ নিয়ে অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়।