পাবনার ঈশ্বরদীতে নিখোঁজের আট দিন পর তপু আহম্মেদ (১৪) নামের এক কিশোরের টুকরা করা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরের একটি মেসের কক্ষে রাখা ট্রাংকের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত তপু ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের মশুড়িয়া পাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। সে শ্রমিকের কাজ করত। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে।
পুলিশের ধারণা, মুক্তিপণের জন্য শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল। টাকা না পেয়ে তাকে হত্যা করে লাশ গুমের জন্য বাক্সে রাখা হয়।
স্থানীয় লোকজন ও শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ জুন সকালে তপু বাড়িতে ছিল। বেলা তিনটার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তপুর মুঠোফোন থেকেই তার বাবার কাছে ফোন দিয়ে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছিল। তপুর দরিদ্র বাবা বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এরপর আরও টাকা চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি থানায় জানান। পরে পুলিশ মুঠোফোন নম্বরটি শনাক্ত করে তপুর খোঁজ শুরু করে। এর এক পর্যায়ে সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁরা লাশের সন্ধান দেয়। পরে পুলিশ শহরের ওই মেসে অভিযান চালিয়ে তপুর লাশ উদ্ধার করে। ট্রাংকের ভেতরে লাশের বিভিন্ন অংশ পলিথিনে মোড়ানো ছিল।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁরা লাশের সন্ধান দেন। তবে তাঁদের পরিচয় তদন্তের স্বার্থে এখন জানানো যাবে না। ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।