রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির মামলায় তারেক রহমান খালাস পাওয়ায় বিএনপির নেতা–কর্মীদের আনন্দমিছিল। আজ বুধবার দুপুরে জয়পুরহাট আদালত এলাকায়
রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির মামলায় তারেক রহমান খালাস পাওয়ায় বিএনপির নেতা–কর্মীদের আনন্দমিছিল। আজ বুধবার দুপুরে জয়পুরহাট আদালত এলাকায়

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জয়পুরহাটে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির মামলা খারিজ

জয়পুরহাটে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার জয়পুরহাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা আদালত চত্বরে আনন্দমিছিল করেছেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বক্তব্য দিয়েছিলেন। এ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের জয়পুরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা বাদী হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালতের আদেশে ২০১৫ সালের ২৮ মে জয়পুরহাট সদর থানা রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির অভিযোগে মামলাটি নথিভুক্ত করে। পরে তদন্ত করে পুলিশ এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

বিবাদী পক্ষের আইনজীবী নাজমুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছিল। মামলাটি করার পর থেকে বাদী নিষিদ্ধঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা আদালতে উপস্থিত হননি। আদালত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মামলা থেকে খালাস দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি এ টি এম মুজাহিদ আজিজ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় কোনো উপাদান ছিল না। আদালত তারেক রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এ মামলাটি করা হয়েছিল।

বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বলেন, দেশনেতা তারেক রহমানকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ। ছাত্র–জনতার বিপ্লবের পর অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।