সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় ৬৭ বছরের এক বৃদ্ধা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার এক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অস্ত্রোপচার দরকার বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধা আজ রোববার সকালে বলেন, তাঁর স্বামী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে আর একমাত্র ছেলে অন্যত্র বসবাস করেন। বর্তমানে তিনি বিয়ের ঘটকের কাজ করেন। গতকাল পাশের গ্রামের এক ছেলের বিয়ে ঠিক করতে তাঁর পরিবারকে কালীগঞ্জের নলতায় এক মেয়েকে দেখাতে নিয়ে যান।
রাত ১১টার দিকে ছেলের বাবা আরও কিছু খোঁজখবর নেওয়ার কথা বলে বৃদ্ধার বাড়িতে আসেন। তিনি (বৃদ্ধা) দরজা খোলামাত্রই ওই ছেলের বাবা তাঁর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি কোনোমতে নিজেকে ছাড়িয়ে চিৎকার শুরু করেন। তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশী রুহুল আমিন ও আবদুল মজিদ এগিয়ে আসেন। তাঁদের দেখে ছেলের বাবা পালিয়ে যান। রাতেই তাঁকে দেবহাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ সকাল ১০টার দিকে তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সোমা রানী দাস জানান, রক্ত বন্ধ করার জন্য বৃদ্ধার জরুরি অস্ত্রোপচার দরকার। তাঁকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইদ্রিসুর রহমান জানান, ধর্ষণের বিষয়ে তাঁদের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ আসে। আজ বেলা ১১টার দিকে সদর হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা বৃদ্ধার জবানবন্দি নিয়েছেন। বৃদ্ধা অসুস্থ থাকায় তাঁর ছেলে ও মেয়েরা চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ তাঁরা দেননি। তবে তাঁরা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করছেন।