গজারিয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন। রোববার দুপুরে সিরাজদিখান উপজেলার সমবায় মার্কেট সড়কে
গজারিয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন। রোববার দুপুরে সিরাজদিখান উপজেলার সমবায় মার্কেট সড়কে

মুন্সিগঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা। আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার সমবায় মার্কেট সড়কে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটি।

মানববন্ধন থেকে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হোসেন্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনিরুল হকের বিচার এবং অন্য আসামিদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেন সাংবাদিকেরা। ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম গোলজার হোসেন। তিনি দৈনিক মানবজমিনের মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি এবং মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি।

প্রথম ধাপে গত বুধবার অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় তথ্য সংগ্রহের জন্য সাংবাদিক গোলজারসহ অন্য সাংবাদিকেরা হোসেন্দি ইউনিয়নের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। তখন গোলজারের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে মনিরুল হক, তানভীরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় মামলা হয়। এরপর গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে রাজধানীর শাজাহানপুর থেকে মনিরুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মানববন্ধনে সাংবাদিকেরা বলেন, ভোটের দিন হোসেন্দি ইউপির চেয়ারম্যান মনিরুল হক, তাঁর ভাই গাজীপুর মসলা গবেষণাকেন্দ্রে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইকবাল হক ও তাঁদের ভাতিজা তানভীর হক, ভাগিনা জুয়েলসহ অন্যরা ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানাকে মারধর করেন। সেই দৃশ্য ধারণ করায় তাঁরা সাংবাদিক গোলজারকে আটকে রেখে নির্যাতন করেন। ওই কেন্দ্রে থাকা সাতজন সাংবাদিককে আধা ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে হত্যা ও হাত-পা কেটে নেওয়ার হুমকি দেন।

সাংবাদিকেরা বলেন, আগে কখনো জেলায় এমন ঘটনা ঘটেনি। তাঁরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় ইকবাল হকের নাম নেওয়া হয়নি। ইকবালকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তাঁরা।