ঘর থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে দোকানে যাচ্ছিল ৫ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ। প্রতিবেশী এক কিশোর টাকাটি কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে ধাক্কা দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার ২০ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির গলিত লাশ ভেসে ওঠে নদে। পরে নদ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ঘটনা এটি। ঘটনার পরপরই সন্দেহভাজন ওই কিশোর গ্রাম ছেড়ে পালায়। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুরের শিশু সংশোধনাগারে পাঠায় পুলিশ।
লাশ উদ্ধার হওয়া শিশুর বাবা একজন কৃষক। ব্রহ্মপুত্র নদের খুব কাছে তাদের বাড়ি। পুলিশের দাবি, শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে গ্রেপ্তার কিশোর।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিশু মুজাহিদ ১০ মে দুপুরে হাতে ৫০০ টাকা নিয়ে দোকানে যাচ্ছিল। এ সময় প্রতিবেশী এক কিশোর (১৫) তার কাছ থেকে টাকাটি কেড়ে নিয়ে তাকে নদে ফেলে দেয়। এর পর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। আজ দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এদিকে মুজাহিদ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে গ্রাম ছেড়ে পালায় অভিযুক্ত কিশোর। এতে এলাকাবাসীর তার প্রতি সন্দেহ বাড়ে। এ ঘটনায় মুজাহিদের বাবা বাদী হয়ে ওই কিশোরকে আসামি করে ১১ মে থানায় একটি মামলা করেন। ওই দিনই অভিযান চালিয়ে কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুরের শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, টাকা কেড়ে নিয়ে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলার কথা আসামি নিজেই স্বীকার করেছে। ঘটনার বর্ণনাও দিয়েছে। আজ শিশুটির লাশ পাওয়া গেছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।