সিলেটে দুদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে জেলার কোনো নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়নি।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছয়টায় সিলেটের সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সেখানে আজ শুক্রবার বেলা তিনটায় ১১ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।
নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। সেখানে গতকাল সন্ধ্যায় পানির উচ্চতা ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৯ সেন্টিমিটার। তবে আজ বেলা তিনটায় ওই পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৩ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার। সে পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পানি ১০ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ বেলা তিনটার দিকে নদীর ওই পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীর কুশিয়ারা পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় নদীর সে পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ৮ দশমিক ৮৯ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে। আজ বেলা তিনটায় নদীর ওই পয়েন্টে পানি ৮ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সিলেটের লুভা নদীতে পানি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় ১১ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সেখানে আজ শুক্রবার বেলা তিনটায় ১১ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে সারী নদী ও ধালাই নদের পানি কিছুটা কমেছে। সারী নদীর সারীঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। সেখানে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় ছিল ১১ দশমিক শূন্য ১ সেন্টিমিটার। আজ বেলা তিনটায় সেখানে কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ধলাই নদের পানি গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় ৯ দশমিক ৭৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ বেলা তিনটায় ওই পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সিলেট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, সিলেটে বৃষ্টিপাতের ফলে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তবে কোনো নদ-নদীর পানি শুক্রবার বেলা তিনটা পর্যন্ত বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।