বরগুনার বেতাগীতে বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে মো. সালাউদ্দীন নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সালাউদ্দীন ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ বড় মোকামিয়া এলাকার বাসিন্দা সহিদুল ইসলামের ছেলে। সালাউদ্দীন বেতাগী সরকারি ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় দুই মাস আগে মোকামিয়া বিষখালী নদী-সংলগ্ন লঞ্চঘাট এলাকায় সালাউদ্দীনের বাবা সহিদুল ইসলামকে মারধর করেন মুনসুর ব্যাপারী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। রোববার সন্ধ্যার দিকে সালাউদ্দীন লঞ্চঘাটে গিয়ে বাবাকে মারধরের বিষয়ে মুনসুরের কাছে জানতে চান। এ সময় তাঁদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মুনসুর সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে সালাউদ্দীনকে আঘাত করে পালিয়ে যান।
বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রওনক জাহান বলেন, ওই যুবককে হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।
নিহত সালাউদ্দীনের চাচাতো ভাই মো. মাহাবুব বলেন, সন্ধ্যায় মোকামিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় গেলে সালাউদ্দীনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন মনসুর। এর আগেও মুনসুর সালাউদ্দীনের বাবাকে মারধর করেন।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। নিহত সালাউদ্দীনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।