বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে খুলনায় দুরপাল্লার বাস, অভ্যন্তরীণ রুটের বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল করছে। তবে যাত্রী অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেকটাই কম।
আজ সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, গত রোববার বিএনপির ডাকা হরতালে যে পরিস্থিতি ছিল, আজ তা নেই। অবরোধের পক্ষে–বিপক্ষে বিএনপি, জামায়াত, সমমনা দল কিংবা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ শহরে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো মিছিল বা সমাবেশ করেনি।
সোনাডাঙ্গা আন্তজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব রুটের পরিবহনই ছেড়ে যাচ্ছে। তবে যাত্রী একেবারেই কম। এ কারণে সময়সূচী পরিবর্তন করে কিছুটা দেরিতে বাসগুলো ছাড়ছে। যাত্রী না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকেরা।
কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রায় সবার মধ্যে সুস্থভাবে বাড়ি থেকে বের হয়ে আবার সুস্থভাবে ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা, এমন অনিশ্চয়তা কাজ করছে। এ কারণে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যাত্রী না থাকায় গাড়ি নিয়ে বের হলে বাসের খরচ ওঠার সম্ভাবনা অনেক কম। তবুও পরিবহনমালিকদের চাপে তাঁরা গাড়ি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁরা বলেন, পথের বিভিন্ন জায়গায় চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা থাকে। এ কারণে হরতাল বা অবরোধের মতো কর্মসূচিতে তাঁরাও আতঙ্কে থাকেন।
ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের সোনাডাঙ্গা কাউন্টারের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, যাত্রীর চাপ অনেক কম, এ কারণে নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুযায়ী খুলনা থেকে গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে না।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী বুকিং কর্মকর্তা মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সূচি অনুযায়ী প্রায় প্রতিদিন সকালে খুলনা থেকে রাজশাহী, সৈয়দপুর, ঢাকার উদ্দেশে চারটি ট্রেন ছেড়ে যায়। আজ সকালে সব ট্রেনই সূচি অনুযায়ী ছেড়ে গেছে। কোনো সমস্যা হয়নি।
বিআইডব্লিউটিএ খুলনার কর্মকর্তারা জানান, খুলনা থেকে মাত্র একটি রুটে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করে। সূচি অনুযায়ী সকাল ৯টায় একটি লঞ্চ খুলনা থেকে কয়রার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।