ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কীর্ত্তিনগর সেচখাল থেকে মেছো বাঘের তিনটি শাবক উদ্ধার করা হয়েছে
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কীর্ত্তিনগর সেচখাল থেকে মেছো বাঘের তিনটি শাবক উদ্ধার করা হয়েছে

ঝিনাইদহে সেচখাল থেকে আটক মেছো বাঘের ৩ শাবককে ছেড়ে দেওয়া হলো জঙ্গলে

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার একটি সেচখালে ধরা পড়েছে মেছো বাঘের তিনটি শাবক। রোববার সকালে উপজেলার কীর্ত্তিনগর সেচখাল থেকে স্থানীয় লোকজন শাবক তিনটি ধরে রাস্তার ওপরে নিয়ে আসেন। পরে শাবক তিনটি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় কৃষক জমির উদ্দিন ও শহিদুল ইসলাম জানান, সকালে সেচখালটিতে তাঁরা মেছো বাঘের তিনটি শাবক দেখতে পান। খালটি লোকালয়ে হওয়ায় শাবকগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। স্থানীয় লোকজন শাবক তিনটি ধরে রাস্তায় নিয়ে এসে বন বিভাগে খবর দেন। পরে বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে শাবক তিনটি উদ্ধার করে পাশের জঙ্গলের ভেতরে রেখে আসেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলায় প্রায়ই দেখা মিলছে বন্য প্রাণীর। বড় বড় মেছো বাঘের পাশাপাশি দেখা মিলছে একাধিক শাবক। ধারণা করা হচ্ছে, এসব বন্য প্রাণীর আবাস উপযোগী ব্যবস্থা রয়েছে এলাকার বন-জঙ্গলে। দেড় বছর আগে শৈলকুপার শাহবাড়িয়া মাঠে সেচপাম্পের ভেতরে দুটি বাচ্চাসহ মা মেছো বাঘ ধরা পড়ে। আর এবার শৈলকুপার কীর্ত্তিনগর গ্রামের মাঠের সেচখালে খেলা করছিল শাবক তিনটি।

উপজেলা বন কর্মকর্তা মখলেচুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। সারুটিয়া ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী-কীর্ত্তিনগর সেচখালে হালকা পানি আছে। আশপাশে গমের খেত ও বনজঙ্গল। যেহেতু শাবক তিনটি ছোট ও দুধ পান করে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, আশপাশেই শাবক তিনটির মা মেছো বাঘ আছে। শাবকগুলো আবার সেচখালের বন জঙ্গলের ভেতরে রেখে আসা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে, শাবকগুলোকে যেন নির্যাতন বা যন্ত্রণা না করা হয়।