যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার ৫ বছর পদোন্নতি স্থগিত, কর্মচারী বরখাস্ত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. হায়াতুজ্জামানের আগামী পাঁচ বছর পদোন্নতি ও তিনটি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) স্থগিত ও জ্যেষ্ঠ টেলিফোন অপারেটর মো. ফয়সাল কবিরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নিয়োগ–বাণিজ্যে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৯৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আবদুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিয়োগ–বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তদন্ত বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের জনসংযোগ শাখার উপপরিচালক মো. হায়াতুজ্জামানের আগামী পাঁচ বছর সব ধরনের পদোন্নতি ও তিনটি বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগে জ্যেষ্ঠ টেলিফোন অপারেটর মো. ফয়সাল কবিরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। আগে থেকে ফয়সাল কবির চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। এ ছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁসসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হাজ্জাজ বিন আজিজের চাকরির অবসান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রিজেন্ট বোর্ডের ৯৪তম সভায় সিদ্ধান্তগুলো গৃহীতা হয়েছে।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) অধীনে যশোরের চৌগাছা উপজেলার মৃধাপাড়া কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষায় ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা (প্রক্সি) দিতে গিয়ে যবিপ্রবির ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (পিটিআর) বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নুরুল সাদিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটির ১১তম সভার সুপারিশক্রমে রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তাঁকেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনিছুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আবু ইউসুফ মিয়া, যুগ্ম সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক সলিমুল্লাহ, সাভারের পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আসাদুজ্জামান, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, ইউজিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট এম এ রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহসান হাবীব, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গালিব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসান, সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব।