মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সড়কে গাছ ফেলে কয়েকটি যানবাহনে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পথচারী, যাত্রী ও কয়েকজন পরিবহনচালকের অভিযোগ, কুপিয়ে জখমের পাশাপাশি মারধর করে স্বর্ণালংকার ও অর্থ লুট করেছে ডাকাত দলটি। এসব হামলায় যাত্রীবাহী যানবাহনের চালক, তাঁর সহকারীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের আকবপুর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁরা হলেন শ্যামলী পরিবহনের চালক মোস্তাফিজুর রহমান (৫০) ও তাঁর সহকারী রহিদুল ইসলাম (৩৩)। আহত অবস্থায় তাঁদের প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোস্তাফিজুরের ছোট ভাই হাফিজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের বাসটি গাংনী উপজেলার আকবপুর এলাকায় পৌঁছালে ২০ থেকে ২২ জনের একটি ডাকাত দল সড়কের ওপর গাছ ফেলে পরিবহনের চালকের সহকারী রহিদুল ইসলামকে মারধর করে। পরে চালক মোস্তাফিজুর রহমানকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে যায়।
শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী হাফিজুর রহমান জানান, ওই সময়ে সড়কে যাতায়াত করা অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, আলগামন, নছিমনসহ বেশ কয়েকটি গাড়ির গতি রোধ করেন ডাকাত দলের সদস্যরা। তাঁদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর আগে আকবপুর এলাকায় রাতে পুলিশের টহল থাকত। এখন রাতের বেলায় কোথাও পুলিশ দেখা যায় না। এ কারণে ডাকাত দল সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে একই স্থানের সুনসান সড়কে গাছ ফেলে সড়কে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল। ডাকাত দলের সদস্যেরা হাফপ্যান্ট ও লুঙ্গি পরা ছিলেন। গামছা-মাফলার দিয়ে মুখ ঢেকে তাঁরা দেশি অস্ত্র রামদা ও হাঁসুয়ার উঁচিয়ে পথচারী ও যানবাহন থামিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ডাকাতি করেন।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আহসান খান বলেন, ওই এলাকায় অপরাধীদের আটকের জন্য অভিযান চালাবে পুলিশ।
অন্যদিকে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাত দলের সদস্যদের ধরতে কাজ করছে পুলিশ।